আমরা জানি যে ক্লাস থেকে অবজেক্ট তৈরি করা হয়। ক্লাসে মূলত একটি অবজেক্টে কী কী প্রোপ্রার্টিজ থাকবে এবং এটি কী কী কাজ করতে পারবে তার বর্ণনা থাকে। কিন্তু যখন নিউ(new) অপারেটর ব্যবহার করে একে অবজেক্ট তৈরি করা হয়, তখন এটি একটি জীবন্ত প্রাণির মতো অবজেক্টে পরিণত হয়। একটি জীবন্ত প্রাণির যেমন অনেকগুলো নিজস্ব ও অনন্য (unique) বৈশিষ্ট্য থাকে (যেমন- নাম, বয়স, ডিএনএ সিকুয়েন্স ইত্যাদি), তেমনি একটি অবজেক্টের একইরকম অনন্য পরিচয় (unique identity) থাকে। প্রত্যেকটি অবজেক্ট কিছু না কিছু স্টেট(state) বা ডেটা থাকে। প্রত্যেকটি অবজেক্টের একটি জীবন চক্র থাকে (life cycle)। এটি নিউ অপারেটর দিয়ে শুরু হয় এবং গারবেজ কালেক্টর(garbage collector) দিয়ে শেষ হয়। এই শুরু এবং শেষ হওয়ার মধ্যবর্তী অবজেক্টের কোনো অবস্থাকে বাইনারী ফরমেটে স্টোর করা যায় এবং সেই একই অবস্থা থেকে পুনর্গঠিত করা যায়।
অবজেক্টের এই কোনো অবস্থাকে বাইনারী ফরমেটে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে সিরিয়ালাইজেশন(serialization) বলা হয়। আবার এই বাইনারী ফরমেট থেকে অবজেক্টে পুনর্গঠিত করার প্রক্রিয়াকে ডিসিরিয়ালাইজেশন(deserialization) বলা হয়।
সাধারণত দুটি কাজে এই সিরিয়ালাইজেশনের দরকার হয় –
১. অ্যাপ্লিকেশনের কোনো প্রয়োজনে অবজেক্টের অবস্থানকে স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন- ডেটাবেইজে সংরক্ষণ।
২. একটি অজবেক্টেকে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে পাঠোনোর প্রয়োজন হতে পারে।