একজন প্রোগ্রামার লাইফ যত সহজ একজন পদার্থবিজ্ঞানীর লাইফ তত সহজ নয়। প্রোগ্রামার কোনাে কিছু চিন্তা করলেই তা সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখতে পারে। এক্সপেরিমেন্টের যোগার-যন্ত্র ব্যবস্থা করা খুব সহজ। সবার পকেটেই একটা করে থাকে।
চিন্তা করে দেখেন, পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি তত্ত্ব প্রমাণ করতে কত সময়, অর্থ লাগে ?
গ্রাভিটেশনাল ওয়েবের কথাই চিন্তা করেন, ১৯১৬ সালে আইনস্টাইন এ নিয়ে চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো টুলস ছিল না এটা প্রমাণ করা। এটি প্রমাণ করতে গ্রাভিটেশনাল-ওয়েব ফেসিলিটি লাইগো তৈরি করতে লেগে গেছে ৬২০ মিলিয়ন ডলার এবং সময় লেগে গেল প্রায় ১০০ বছর।
যাহোক, ফিজিক্সের চেয়ে প্রোগ্রামিং ভাল এই জিনিস বলার জন্য এই পোস্ট নয়। ফিজিক্স নিয়ে কাজ নিঃসন্দেহে একটি সুপিরিয়র কাজ এবং এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী। তবে সবার পক্ষে আইনস্টাইন বা তাঁর ১/১০০ ভাগের সমমানের কাজ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু একজন প্রোগ্রামার হওয়া খুবই সহজ।
প্রোগ্রামিং শেখার জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার আর একটি কৌতূহলী মন।
কোনো একটি বই নিয়ে পড়তে শুরু করেন, অ আ ক খ এর মতো যে কোনো একটা প্রোগ্রামিংয়ের অল্প কিছু নিয়ম কানুন শিখে ফেলেন। এগুলো শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না। তারপর নিজের মতো করে একটা দুটা ছোট ছোট প্রোগ্রাম লিখতে শুরু করেন। তারপর ধীরে ধীরে অনেক বড় প্রোগ্রাম লেখা শিখে ফেলতে পারবেন। কিছু দিনের মধ্যেই নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে মজার মজার সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলতে পারবেন, বিক্রিও করতে পারবেন। এতে যেমন আপনার কৌতূহলী মন তৃপ্ত হবে, তেমনি আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ পাবে এবং টাকাও উপার্জন করতে পারবেন।
যে কোনো বিষয় আয়ত্ত্বে আনতে হলে প্রথমে বেশ কিছু সময় লাগে। এটি স্বাভাবিক। এতে ভয় পাওয়া বা বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মানুষের মস্তিষ্ক কয়েকটি প্রি-প্রোগ্রামড জিনিস নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। এগুলো হলো –
1.টিঁকে থাকা বা বেঁচে থাকা। মানুষ সবসময় চেষ্টা করে যে কোনো উপায়ে বেঁচে থাকা।
2. শারীরিক ফাংশন, যেমন- রক্ত সঞ্চালন, নিশ্বাস নেওয়া ইত্যাদি।
3. নিরাপত্তা- মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা জ্ঞান প্রচণ্ডরকম। নিজের ভাল পাগলেও বুঝে, ব্যপারটা এরকম।
4. শক্তি সংরক্ষণ – মানুষের মস্তিষ্ক নানা উপায়ে শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। পরিশ্রম করলে শক্তির ক্ষয় হয়, তাই মস্তিষ্ক চায় না, আমরা দুইমাইল হেঁটে আসি। যাতে হাঁটতে না হয়, এই জন্য বুদ্ধি করে ঘোড়ার পিঠে উঠে কীভাবে পথ পারি দেওয়া যায়, সেই পদ্ধতি চিন্তা করে বের করে। আর তাই আমরা যখন নতুন কিছু শিখতে চাই, মস্তিষ্ক চায় না যে, আমরা এই নতুন জিনিসটা শিখি। কিন্তু আমরা চাইলে এই মস্তিষ্ককে ট্রিক করে অনেক কিছু শিখে ফেলতে পারি, অনেক কাজ করতে পারি। হাঁটতে পারি, দৌঁড়াতেও পারি।
5. আনন্দ – যতটা সম্ভব আনন্দ উপভোগ করা।
এই পাঁচটি ছাড়া আর কোনো প্রোগ্রামিং আমাদের মস্তিষ্কে থাকে না। বিশ্বাস, প্রিকনসিভ আইডিয়াস, শিক্ষা-দক্ষতা ইত্যাদি ইচ্ছে মতো মানুষ মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম করে নিতে পারে। প্রোগ্রামিং শেখাও একটি মস্তিষ্ক প্রোগ্রামিং।
সুতরাং একটু কষ্ট করে যে শিখে ফেলুন একটি প্রোগ্রামিং।
জাভা প্রোগ্রামিং শিখতে হলে, জাভা প্রোগ্রামিং বইটি দেখতে পারেন।
বইটি পাওয়া যাবে-
রকমারি ডট কম, ফোন: ১৬২৯৭
হক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৮২০-১৫৭১৮১
মানিক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৭৩৫-৭৪২৯০৮
রানা বুক পাবলিশার্স, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৬২৩-০৫৮৪২৮
অন্যরকম প্রকাশনী, ঢাকা