জাভা প্রোগ্রামিং
জাভা বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি বহুমুখী প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি ২৬ বছর আগে সান মাইক্রো সিস্টেমে তৈরি হয়। এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ক্ষেত্রে এর বিকল্প এখনো সেভাবে তৈরি হয় নি বলে ধরা হয়। জাভার জনপ্রিয়তার মূল কারণ এর পোর্টেবিলিটি (Portability), নিরাপত্তা এবং অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ও ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের পরিপূর্ণ সাপোর্ট। এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষার মৌলিক বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
জাভা থ্রেড প্রোগ্রামিং
আধুনিক কম্পিউটারের প্রোগ্রামগুলো বেশ বুদ্ধিদীপ্ত ও জটিল। এগুলো একই সঙ্গে একাধিক কাজ সম্পাদন করতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো লিখতে হলে আমাদের নিজেদেরও বুদ্ধির পরিচয় দিতে হয়। সাধারণত একটি বড়ো কাজ কতগুলো ছোটো ছোটো কাজের সমষ্টি হয়। এই ছোটো কাজগুলোকে আলাদাভাবে করে, এদেরকে জুড়ে দিয়েই সামগ্রিকভাবে বড়ো কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে কিছু কাজ একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল হয়, অন্যগুলো স্বাধীনভাবে সম্পাদন করা যায়। আবার এই ছোটো ছোটো কাজগুলো কম্পিউটার ধারাবাহিকভাবে একটির পর আরেকটি সম্পাদন করতে পারে। তবে যে কাজগুলো স্বাধীন সেগুলোকে যদি একই সঙ্গে করা যায়, তাহলে অল্প সময়ে আমরা একাধিক কাজ করে ফেলতে পারি। এই একই সঙ্গে একাধিক কাজ কীভাবে করা যায়, তা নির্ভর করে আমাদের প্রোগ্রামটি আমরা কীভাবে লিখছি তার ওপর। জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে একাধিক ছোটো কাজ খুব সুন্দর ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে সাজিয়ে প্রোগ্রাম লেখার উপায় হলো থ্রেডিং। এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জাভা থ্রেডি প্রোগ্রামিং এর মৌলিক বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
অ্যাডভান্সড জাভা প্রোগ্রামিং
পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। আমরাও নতুনের খুঁজে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রয়োজনের সম্মুখীন হচ্ছি। এই বইটি ঠিক এই প্রয়োজনের তাগিদেই লেখা। অনেকগুলো নতুন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজেও যুক্ত হয়েছে ল্যামডা এক্সপ্রেশন। এর ফলে জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে এসেছে প্রোগ্রাম লেখার নতুন স্টাইল। এখন আমরা আগের থেকে আরো অনেক সুন্দর ও সংক্ষিপ্ত কোড লিখতে পারি। এই বইতে এই সুন্দর ও সংক্ষিপ্তভাবে প্রোগ্রাম লেখার উপায়গুলোর সঙ্গে জাভা প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কতগুলো অ্যাডভান্সড ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ## জাভা ওয়েব প্রোগ্রামিং
জাভা ওয়েব প্রোগ্রামিং
এটি জাভা প্রোগ্রামিং নিয়ে আমার লেখা চতুর্থ বই। এই বইটি মূলত আগের বইগুলোর ধারাবাহিকতার ফসল। আমার আগের বইগুলোর অনেক পাঠকই জাভা ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে আগ্রহ থাকলেই হয় না, একটি জায়গা থেকে শুরু করতে হয়। এই শুরুর জায়গাটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই বইটি লেখা। ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেক বড়ো একটি বিষয়। একটি বইয়ে এর খানিকটা পরিচয় করিয়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। তবে আমি মনে করি, একটি বইয়ে সম্পূর্ণ পথের বর্ণনা না থাকলেও কোথা থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে তা যদি বলে দেওয়া যায় সেটুকুই অনেক বড়ো একটি কাজ। সেই বড়ো কাজটুকু এই বইয়ে যথাসাধ্যভাবে করার চেষ্টা করেছি।
বইটি আমার অন্য বইগুলো থেকে একটু আলাদা। এই বইয়ে একটি সম্পূর্ণ প্রোজেক্ট রয়েছে। তাই এই বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি এর কোডগুলো করে যায়, তাহলে বইটি পড়ে শেষ করার সময় একটি সম্পূর্ণ প্রোজেক্ট তৈরি হয়ে যাবে। সে অর্থে বইটি কিছুটা নির্দেশনামূলক। অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা থাকলেও বইটিতে তত্ত্বের চেয়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বেশি দিয়েছি। কোনো একটি প্রোগ্রামিং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো অভ্যাসের (best practices) দিকে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছি। আমার ধারণা, কেউ যদি এই বইয়ের কোড এবং এর অনুশীলনীগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে, বইটি শেষ করার পর প্রোডাকশন গ্রেডের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করবে।
যদিও আমরা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকম ফ্রেমওয়ার্ক ও টুল ব্যবহার করি, কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। যেমন : বহুল ব্যবহৃত একটি ফ্রেমওয়ার্ক হলো স্প্রিং ফ্রেমওয়ার্ক। জাভার এন্টারপ্রাইজ ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে এটি বিশেষভাবে সমাদৃত। এটিতে কাজ শুরু করতে গিয়ে অনেক কিছুতেই মনে হবে ম্যাজিকের মতো কাজ করছে। তবে একজন প্রোগ্রামারকে অবশ্যই ম্যাজিকে বিশ্বাস করলে চলবে না। তাকে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। টুল ব্যবহার করতে পারা একটি বিশেষ দক্ষতা, একই সঙ্গে টুলটি কীভাবে কাজ করে তা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে টুলটিকে গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায় এবং কোনো সমস্যায় পড়লে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। এজন্য এই বইয়ে জাভা ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলো, যেমন : জাভা সার্ভলেট, সার্ভলেট কনটেইনার, লগিং, জেডিবিসি, কানেকশন পুল, ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এর ফলে পরবর্তী সময়ে কেউ যদি একটি হাই লেভেল ফ্রেমওয়ার্ক, যেমন : স্প্রিংয়ে কাজ করতে যায়, তার পথ অনেক সহজ হবে এবং এর বিভিন্ন বিষয় খুব দ্রুত ধরতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
https://github.com/MasterDevSkills/java-web-programming-book
বইটি পড়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ হবে প্রতিটি অধ্যায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর কোডগুলো করে ফেলা। বিভিন্ন অংশে ছোটো ছোটো অনুশীলনী রয়েছে, এগুলোও করে ফেলা উচিত। যেহেতু এই বইয়ে ব্যবহারিক দিকটি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, তাই অনুশীলন অর্থাৎ কোড করতে পারাটি জরুরি। বইটিতে ব্যবহৃত সব কোড গিটহাবে পাওয়া যাবে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে কোডগুলো কপি-পেস্ট না করে, বই দেখে, পড়ে, বুঝে আইডিইতে লিখে লিখে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা। এতে শেখার প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে।
সময়ের স্বল্পতা ও বইয়ের পরিসর বিবেচনায় আরো অনেক কিছু যুক্ত করা ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হলো না। পরবর্তী বইগুলোতে আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার ইচ্ছে পোষণ করছি। বইটি অনেক দ্রুত লেখা হয়েছে। কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, তাই বইতে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে পাঠকদেরকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। পাঠকের কোনো পরামর্শ বা অনুরোধ থাকলে তা আমাকে ইমেইলে জানাতে পারেন।
হ্যাপি কোডিং!
প্রাপ্তিস্থান
রকমারি ডট কম, ফোন: ১৬২৯৭
হক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৮২০-১৫৭১৮১
মানিক লাইব্রেরী, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৭৩৫-৭৪২৯০৮
রানা বুক পাবলিশার্স, নীলক্ষেত, ঢাকা, ফোন: ০১৬২৩-০৫৮৪২৮
অন্যরকম প্রকাশনী, ঢাকা